ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫

মযমনসিংহ ও কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর আমাদের ময়মনসিংহ সংবাদদাতা জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা ও ত্রিশালে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন। রবিবার দুপুর ১২ টায় ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মেহেরাবাড়ী নামক স্থানে বাস ও টেম্পুর মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই টেম্পু চালকসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন।

এর আগে একই দিন সকাল ৮টায় ত্রিশাল উপজেলার বইলর নামক স্থানে বাস চাপায় ঘটনাস্থলেই মোটর সাইকেল চালক নিহত ও অপর দুই আরোহী গুরুতর আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পৃথক দুটি ঘটনায় মহাসড়কটিতে প্রায় পৌনে ৩ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের মেহেরাবাড়ি নামক স্থানে ময়মনসিংহগামী অনিক পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৪-৪১৮১) বিপরীত দিক থেকে আসা ইউনিলিভারের মালবাহী টেম্পু (ঢাকা-মেট্রো-প-০৫-২৮৪৮) এর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে টেম্পুটি ধুমড়ে মুচড়ে যায়।

এতে ঘটনাস্থলেই ইউনিলিভারের জুনিয়র বিক্রয় প্রতিনিধি মনির হোসেন (৩৫), জসিম উদ্দিন (৩০) ও টেম্পু চালক ফরিদ মিয়া (২০) মারা যান। এ সময় মহাসড়কটিতে প্রায় ১ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল বাসার জানান, থানা পুলিশ ও ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশ ঘাতক বাস দুটিকে আটক করেছে। এর আগে একই দিন সকাল ৮ টার দিকে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার বইলর নামক স্থানে জামারপুর থেকে ঢাকাগামী রাজিব পরিবহনের একটি বাস একটি মোটর সাইকেলকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মোটর সাইকেল চালক ত্রিশাল উপজেলার পাড় ধানীখলা গ্রামের মাছের খাদ্য ব্যবসায়ী মোঃ আযম খান (৩২) নিহত ও অপর দুই আরোহী গুরুতর আহত হন।

গুরুতর আহত অবস্থায় ত্রিশালের বইলর গ্রামের হুমায়ূন কবীর (৪৫) ও সাবিল (৯)কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী মহাসড়কটি সকাল আটটা থেকে পৌনে দশটা পর্যন্ত অবরোধ করে রাখেন। ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশ ঘাতক বাসটিকে আটক করেছে। সন্ধা ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি এবং ঘাতক বাসের চালক পালিয়ে গেছে।
তথ্যসূত্রঃ প্রবাসে প্রতিদিন তারিখঃ ১৬/০৫/২০১০